এবার চট্টগ্রামের দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানা এলাকায় আওয়ামী লীগ পেলে গণধোলাই করে থানায় সোপর্দের নির্দেশ দেওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিবকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) তাকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. রাসেল বলেন, প্রশাসনিক কারণে তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
জানা গেছে, ওসি আহসান হাবিব সপ্তাহখানেক আগে থানায় যোগদান করেছেন। রোববার (২৪ নভেম্বর) সরফভাটা ইউনিয়ন পরিষদে স্থানীয় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদল নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি। এ সময় তিনি তাদের উদ্দেশে এ নির্দেশনা দেন।
ভিডিওর শুরুতে ওসি বলেন, বীর সন্তান শহীদ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে আমি আমার বক্তব্য শুরু করছি। বক্তব্যের একপর্যায়ে ওসি বলেন, আওয়ামী লীগের সময়ে ধর্ষণ হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণ হয়েছে। বিশ্বের নজির ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে হয়েছে। যারা সাধারণ মানুষকে ১৬ বছর ঘরছাড়া করেছিল, নির্যাতন করছিল। আমার এক ভাই বলেছে, মামলা নিচ্ছে না পুলিশ। আমার সঙ্গে যোগাযোগ করলে আমি একটা সঠিক পরামর্শ দেব। প্রয়োজনবোধে কোর্টে আলাপ করব মামলাটি কীভাবে এস্টাবলিশড করা যায়। তার জন্য আমি চেষ্টা করব।
তিনি আরও বলেন, আমার কথা হলো বিএনপি বৃহত্তর একটি দল। দল-মত-গ্রুপ থাকতেই পারে। দল যাকে নির্বাচনের জন্য প্রতীক বরাদ্দ দেবে তার সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আপনারা সবাই কাজ করবেন। আরেকটি কথা, বিএনপি ১৬ বছর সরকারের বাইরে ছিল। চুরি, ছিনতাই, ধর্ষণ এগুলোতে ছিল না। আমাদের কিছু বিএনপির লোক আওয়ামী লীগের সাথে মিশে গেছে। অরজিনাল ওয়ার্ডভিত্তিক একটা লিস্ট আমি চাই। অপরাধ ঘটলে সবকিছু থানার ওসির পক্ষে সম্ভব না। কিছু দায়িত্ব আপনাদেরও নিতে হবে। যে লোকটা সৎ এবং যোগ্য তাকে দিলে সুনাম হবে, বিএনপির সুনাম হবে। সেটা করতে হবে। চাঁদাবাজি করা যাবে না
ওসি বলেন, বিশেষ করে একটি কথা বলতে চাই, যারা ৫ আগস্টের আগে বিভিন্ন মানুষের বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে, মারপিট করছে তাদের দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়ার মধ্যে গণধোলাই দিয়া থানায় নিয়া আসবেন। বিশেষ করে ছাত্রলীগ ঠাঁই পাবে না। আপনাদের এই পর্যায়ে যদি আওয়ামী লীগ থাকতো আপনাদের ঠ্যাং-ঠোং (হাত-পা) ল্যাংড়া হয়ে যেত। বক্তব্যের বিষয়ে ওসি আহসান হাবিব গতকাল সোমবার বলেছিলেন, এটা ভুলবশত হয়েছে। ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।